বর্তমান সময়ের দ্রব্যমূল্যর যে হারে বৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে করে অনেকের প্রথাগত চাকরি করেও অন্যান্য খরচ মেটানোর সময় অর্থের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। এজন্য অনেকেই চান চাকরির পাশাপাশি ছোটখাটো কোন একটি আয়ের উৎস(Extra Income Source) খুঁজে রাখতে, যেখান থেকে অতিরিক্ত কিছু আয় হবে এবং সংসারের খরচ চালাতে সুবিধা হবে।
আজকের এই প্রতিবেদনে জানানো হবে এমন কয়েকটি কাজ(Part Time Job For Job Employees) সম্পর্কে, যেগুলি মূলত চাকুরীজীবীদের জন্যই সম্ভব। তবে অন্যরাও এই কাজগুলো করতে পারবেন স্বাচ্ছন্দের সাথে। চাকুরীজীবীরা অবসর সময়ে এই কাজগুলি করতে পারবেন অতিরিক্ত আয়ের জন্য।
১) অনলাইন কোর্স:
এই কাজটি মূলত সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক এবং শিক্ষিকাদের জন্য উপযুক্ত একটি কাজ। এখানে আপনারা বিভিন্ন কোর্সের(Online Course) মাধ্যমে অনেককে বিভিন্ন রকম বিষয় সম্পর্কে শেখাতে পারবেন।
স্পোকেন ইংলিশ(Spoken English Course), গিটার, যোগা বা অন্যান্য কোন বিষয় সম্পর্কে যদি আপনার ভালো জ্ঞান থেকে থাকে, তাহলে সেই বিষয়ে কোর্স করিয়ে আপনারা প্রত্যেক মাসে অতিরিক্ত অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।
এজন্য আপনাকে সেই কোর্স সম্পর্কিত ভিডিও(Video) তৈরি করতে হবে এবং সেই ভিডিও আপলোড করার মাধ্যমে আপনি প্রচুর সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। বর্তমানে অনলাইনের মাধ্যমে কাজের হার যেভাবে বেড়ে চলেছে, তাতে করে নিঃসন্দেহে বলা যায় যে, অফলাইনের তুলনায় অনলাইনের মাধ্যমে আরো বেশি সংখ্যক গ্রাহকের কাছে পৌঁছানো সম্ভব।
২) কন্টেন্ট রাইটিং:
চাকুরীজীবীদের চাকরি করার পাশাপাশি আয়ের অন্যতম একটি উৎস হল কন্টেন্ট রাইটিং(Content Writing)। বিভিন্ন ব্লগ ওয়েবসাইট বা অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে লেখালেখির মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে আপনাদের।
বিশেষ করে যে সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকারা নির্দিষ্ট একটি বিষয় সম্পর্কে দক্ষ, তারা সেই বিষয়ের কোন একটি টপিক নিয়ে ভালো মানের কোন লেখা তৈরি করতে পারেন। সেই লেখাটি আপনারা নোট আকারে অন্যান্য ছাত্রছাত্রীদের কাছে বা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের কাছে পৌঁছে দিতে পারেন।
পাশাপাশি বড় কোন জার্নালে(Journal) লেখা প্রকাশ করার মাধ্যমেও প্রতি মাসে অতিরিক্ত অনেক টাকা উপার্জন করা সম্ভব।
৩) ইউটিউব চ্যানেল:
চাকরি করার পর দিনে অবসর সময় থেকে থাকলে সেই সময় বসে না থেকে আপনারা ইউটিউব ভিডিও(YouTube Video) তৈরি করতে পারেন। বর্তমানে অনেক ছেলেমেয়েরা এবং বড়রাও ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে কয়েক হাজার টাকা থেকে লক্ষাধিক টাকা পর্যন্ত উপার্জন করে থাকেন।
আপনারা যে বিষয়ে দক্ষ সেই বিষয়টি সম্পর্কে ভালো কনটেন্ট সমৃদ্ধ ভিডিও তৈরি করতে হবে এবং সেই ভিডিও ইউটিউবে(YouTube) পোস্ট করতে হবে।
নির্দিষ্ট সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার(YouTube Subscriber) এবং ভিডিওতে ভিউয়ের সংখ্যা অনুযায়ী ইউটিউব কোম্পানির পক্ষ থেকে টাকা পেমেন্ট করা হয়। আপনাদের ভিডিও যদি বহু সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছায়, তাহলে আপনিও প্রত্যেক মাসে ইউটিউব থেকে মোটা অংকের টাকা পেতে পারেন। এমনকি ইউটিউব থেকে পাওয়া অর্থের পরিমাণ চাকরি থেকে পাওয়া অর্থের পরিমাণের থেকে অনেকটা বেশি বা কয়েক গুণ পর্যন্ত হতে পারে।
৪) ফ্রিলান্সিং:
এখনকার দিনে ফ্রিল্যান্সিং(Freelancing) কাজের সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গেছে। লেখালেখি, ভিডিও এডিটিং, ফটোগ্রাফি, মেকআপ আর্টিস্ট, ডিজাইনার ইত্যাদি ক্ষেত্রে ফ্রিল্যান্সিং কাজ করে অনেকে প্রতি মাসে অনেক টাকা উপার্জন করে থাকেন।
এই কাজগুলি করার আগে অবশ্যই আপনাদের এই বিষয়গুলি সম্পর্কে একটি কোর্স(Freelancing Course) করে নেওয়া প্রয়োজন, যাতে করে বিষয়টি সম্পর্কে আপনারা সম্পূর্ণ অবগত হতে পারেন। কোর্সের মাধ্যমে যে নতুন স্কিল আপনারা রপ্ত করবেন, সেটি কাজে লাগিয়ে আপনারা ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে পারেন অবসর সময়ে।