গত ১৯ মে তারিখে ২০০০ অস্থায়ী বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল পশ্চিমবঙ্গের বনদপ্তর। কিছুদিন আগেই শেষ হলো পশ্চিমবঙ্গের বন সহায়ক পদের আবেদন(Bana Sahayak Recruitment 2023)। রাজ্যজুড়ে লক্ষাধিক চাকরিপ্রার্থী এই পদের জন্য আবেদন করেছেন বিভিন্ন জেলাতে। তবে বন সহায়ক পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে স্থগিতাদেশ দিলো কলকাতা হাইকোর্ট। পাশাপাশি যে ২০০০ জন অস্থায়ী কর্মীর প্যানেল বাতিল করা হয়েছিল, তাতেও স্থগিতাদেশ জারি করেছে আদালত।
২০২০ সালে বন সহায়ক পদে নিয়োগ হয়েছিল। সেইবার 50 জন প্রার্থী দাবী তোলেন বন সহায়ক পদে নিয়োগ ত্রুটিপূর্ণ। এই দাবি তুলে তারা হাইকোর্টে(Kolkata High Court) মামলা করেন। হাইকোর্ট থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় বন সহায়ক পদের প্রায় ২০০০ জনের পুরনো প্যানেল বাতিল করতে হবে, এবং এর পাশাপাশি ২০০০ পদে নিয়োগ এর বিজ্ঞপ্তি বের করতে হবে। বিচারপতি লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ বন সহায়ক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেন। পুরনো প্যানেলে থাকা প্রার্থীরা হাইকোর্টের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ চালিয়ে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন।
বিচারপতি ভিএম ভেলুমণি এবং বিচারপতি রাই চট্টোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছে যে, বন সহায়ক নিয়োগের(Bana Sahayak Recruitment 2023) যে বিজ্ঞপ্তি রাজ্য সরকার প্রকাশ করেছিল, সেই বিজ্ঞপ্তিতে আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বতীকালীন স্থগিতাদেশ জারি থাকবে। এজন্য আপাতত রাজ্য সরকার বন সহায়ক পদে কোনরকম নতুন নিয়োগ করতে পারবেন না। পাশাপাশি পুরনো প্যানেল বাতিলের উপরেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে।
হাইকোর্টের আগামী শুনানি না হওয়া পর্যন্ত স্পষ্ট ভাবে বলা যাচ্ছে না যে কি হতে চলেছে। এক্ষেত্রে দুটি সম্ভাবনা থাকতে পারে। প্রথমত, পুরনো প্যানেল বাতিল হলে নতুন যারা আবেদন করেছেন, তারা চাকরি পেতে পারেন। আবার পুরনো প্যানেল বাতিল না হয়ে যদি নতুন নিয়োগের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়, তাহলে যে সমস্ত লক্ষাধিক প্রার্থীরা আবেদন করেছিলেন, তাদের সবার আবেদন প্রক্রিয়া বাতিল হবে এবং পুরনো যারা কর্মী ছিলেন তারাই তাদের পদে বহাল থাকবেন।
তবে এখনো পর্যন্ত অফিশিয়ালি কোন কিছু জানা যায়নি। কোনরকম আপডেট এলে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইট এবং ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে জেনে যাবেন।