একটি মাত্র ক্লিকেই পেয়ে যেতে পারেন মাধ্যমিকের মার্কশিট(madhyamik marksheet)। যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা গত ২০০১ সাল থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক পাশ করেছিলেন, তাদের জন্য এক ক্লিকেই মাধ্যমিকের মার্কশিট এবং শংসাপত্র পাওয়ার ব্যবস্থা করতে উদ্যোগী হয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার। তবে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক সেন্টার (NIC) এর বিষয়ে নিজেদের দায়িত্ব পালন করেনি, এমন অভিযোগ উঠেছেন। Digi Locker এ সমস্ত তথ্য না তোলায় এই পরিষেবাটি এখনো পর্যন্ত শুরু করতে পারেনি পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ(West Bengal Education Department)।
এই মর্মে গত মঙ্গলবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ বন্দোপাধ্যায় এনআইসির(national informatics centre) মহানির্দেশক তথা স্টেট ইনফরমেটিকস অফিসারকে(State Informatics Officer) একটি চিঠি দিয়েছেন।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদ প্রায় এক কোটি ছাত্রছাত্রীর সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করেছে এবং সমস্ত তথ্য গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের ২০ এপ্রিল স্টেট ডেটা সেন্টারে জমাও দেয়া হয়েছে। তবে ন্যাশনাল ইনফরমেটিক সেন্টার(National Informatics Center)এখনো সমস্ত তথ্য ডিজি লকারে তুলতে পারেনি। এজন্য এই পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষার্থীরা।
বর্তমানে ২০১৫ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা ডিজি লকারের এই সুবিধা পেলেও, যে সমস্ত শিক্ষার্থীরা তারা আগে পর্যন্ত মাধ্যমিক পাশ করেছেন, তারা এই সুবিধা পাচ্ছেন না।
ডিজি লকারে যে কোন তথ্য থাকলে তা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকেই অ্যাক্সেস করা যায়। এটি ভারত সরকারের একটি ডিজিটাল লকার সিস্টেম। নাগরিকের ব্যক্তিগত নথিপত্র সংরক্ষণের জন্য ডিজিটাল লকার বা ডিজি লকার প্রকল্পের সূচনা করেছিল ভারতের কেন্দ্র সরকার(central government)। যেকোনও গুরুত্বপূর্ণ নথি ডিজি লকারে রাখলে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে দূর হবে এবং পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য হবে অনেক বেশি সুরক্ষিত।
ডিজি লকার ক্লাউডে(Cloud) প্রত্যেক গ্রাহকদের জন্য আছে এক জিবি স্টোরেজ স্পেস। গ্রাহকদের(Customers) একটি আধার নম্বর থাকলেই ব্যবহার করতে পারবেন ডিজি লকার। যেকোনো গুরুত্বপূর্ণ নথি যা ডিজিটালাইজ করা যায়, তা সমস্ত কিছুই আপনারা এই ডিজি লকারে রাখতে পারবেন না।