এবার থেকে আর বাধ্যতামূলক ইংরেজি এবং হিন্দি নয়, স্টাফ সিলেকশন এর পরীক্ষাগুলি দিতে পারবেন নিজের ভাষাতেই। আপাতত বাংলা সহ ১৩ টি আঞ্চলিক ভাষায় SSC MTS এবং CHSL পরীক্ষা দিতে পারবেন।
এতদিন পর্যন্ত স্টাফ সিলেকশন কমিশনের(Staff Selection Commission) পরীক্ষাগুলিতে দুটি ভাষা বাধ্যতামূলক থাকতো। পরীক্ষার ফর্ম ফিলাপ করার সময়ও প্রশ্নের ভাষা সিলেক্ট করতে হতো। সেখানে প্রার্থীরা পছন্দমত ইংরেজি বা হিন্দি ভাষাও সিলেক্ট করতেন। বাংলার ছেলেমেয়েদেরও এতদিন ইংরেজি বা হিন্দি ভাষাতে পরীক্ষা দিতে হতো। তবে এবার থেকে বাংলার ছেলেমেয়েরা নিজের ভাষাতেই পরীক্ষা দিতে পারবেন।
এর আগে আঞ্চলিক ভাষাতে স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষাগুলি নেওয়ার আবেদন করেছিল দেশের একাধিক রাজ্য গুলি। তারপরেই কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে হিন্দি এবং ইংরেজি ছাড়া আঞ্চলিক ভাষাতে পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন করেছিল একাধিক রাজ্য। স্টাফ সিলেকশন পরীক্ষার নিয়ম কানুন এবং পাঠক্রম খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছিল। সেই কমিটি ও আঞ্চলিক ভাষায় পরীক্ষা নেবার বিষয়টি পর্যালোচনা করে দেখেছে। তারপরেই বাংলা সহ ১৩ টি ভাষায় স্টাফ সিলেকশন কমিশনের পরীক্ষাগুলি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন যে, স্থানীয় যুবক-যুবতীদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাড়ানো এবং আঞ্চলিক ভাষায় উৎসাহ প্রদানের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তিনি আরো জানান যে , সংবিধানের অষ্টম সিডিউলের আওতায় যে সমস্ত ভাষা নথিভুক্ত রয়েছে, সেই সমস্ত ভাষাতেই যাতে পরীক্ষা নেওয়া যায় সেই চেষ্টাই করছে কেন্দ্র সরকারের দফতর।
বর্তমানে SSC MTS এবং CHSL পরীক্ষার প্রশ্ন হবে বাংলা, গুজরাটি, মারাঠি ,মালায়ালাম ,কন্নড়, অসমীয়া, উর্দু ,কঙ্কানি, পাঞ্জাবি, তেলেগু, তামিল, মনিপুরী – এই কয়টি ভাষায়। তার সাথে আগের মত ইংরেজি এবং হিন্দি ভাষাও থাকছে। ইংরেজি বিভাগের প্রশ্নগুলির জন্য শুধুমাত্র ইংরেজি ভাষাতেই নির্ধারিত থাকে, পরীক্ষা চলাকালীন তখন প্রশ্নগুলো অন্য ভাষায় দেখা যায় না। তবে বাকি প্রশ্নগুলোর ক্ষেত্রে ছাত্র-ছাত্রীদের পছন্দ করা ভাষাতেই প্রশ্নগুলি ডিসপ্লেতে আসবে।
সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা আগামী দিনে আরো বেশ কয়েকটি পরীক্ষার সাথে আঞ্চলিক ভাষাগুলি যুক্ত হতে পারে এবং প্রার্থীরা আরও বেশ কয়েকটি পরীক্ষা নিজেদের ভাষায় দিতে পারবেন। ধাপে ধাপে হয়তো সমস্ত চাকরির পরীক্ষাতেই একই রকম নিয়ম চালু করা হতে পারে।