সম্প্রতি কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) অনেক চাকরি বাতিল হয়েছে। যারা অবৈধভাবে এতদিন চাকরি করছিলেন, তাদের কয়েক হাজার প্রার্থীকে চিহ্নিত করে চাকরি থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছে। চাকরি বাতিল সংক্রান্ত কলকাতা হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিমকোর্টের(Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরি হারানো প্রার্থীরা। এই মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ সি এবং নবম দশমে শূন্যপদে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
এই স্থগিতাদেশের ফলে আপাতত ৭ দিনের জন্য ওই শূন্য পদ গুলিতে কোনরকম নিয়োগ করতে পারবে না স্কুল সার্ভিস কমিশন। চাকরি বাতিলের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিচ্যুতরা। তারা দাবি করেন যে, কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে তাদের বক্তব্য শোনা হয়নি এবং তাদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি তাই তাদের বক্তব্য শোনার দাবি করে তারা সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেন। গত শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টের জাস্টিস অনিরুদ্ধ বসু এবং সুধাংশু ধুলিয়া স্কুল সার্ভিস কমিশনকে গ্রুপ সি এবং নবম-দশমের শূন্যপদে নিয়োগে স্থগিতাদেশ দেন।
কিছুদিন আগেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে গ্রুপ-সি এর ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে জানানো যায় যে প্রথম দফায় ১০০ জন চাকরি যাওয়া প্রার্থীর কাউন্সিলিং করা হবে। এই ৮৪২ জন প্রার্থীর মধ্যে ৭৮৫ জনের চাকরির সুপারিশপত্র বাতিল হয় এবং ৫৭ জনের সুপারিশপত্র ছাড়াই চাকরি পাওয়ার জন্য তাদের চাকরি ও বাতিল হয়। এছাড়া বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, ওই শূন্য পদ গুলিতে দশ দিনের মধ্যেই ওয়েটিং লিস্ট থেকে প্রার্থীদের নিয়োগ করতে হবে।
আশা করা যাচ্ছে যে এরপর চাকরিরচ্যুত প্রার্থীদের ধাপে ধাপে হাইকোর্টে ডেকে তাদের বক্তব্য শোনা হবে এবং ভবিষ্যতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে হাইকোর্টের তরফে।