দীর্ঘদিন ধরে রাজ্যে মিড-ডে মিলের (Mid-day meal) বাজার করার দায়িত্ব থাকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের ওপরে। তবে বহুদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা এই কাজের থেকে নিষ্কৃতি পেতে আবেদন করছিলেন সরকারের কাছে। অবশেষে তাদের জন্য এলো বড় খবর।
বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের দাবি তাদের কাজ হচ্ছে শিক্ষকতা করা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো। বাজার করার মত কাজে তারা নিযুক্ত হলে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানোতে ব্যাঘাত ঘটে। তাদের এই আবেদনে এতদিন পর্যন্ত কর্ণপাত করেনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।
কিন্তু কেন্দ্রীয় দল যখন রাজ্যের একাধিক স্কুলে পরিদর্শন করতে এসেছিল, তখন তাদের কাছে শিক্ষক শিক্ষিকারা এই অভিযোগ করেন। এবং বিভিন্ন জায়গায় রাজ্য সরকারের মুখ পোড়ে এই ঘটনায়।
অবশেষে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্তে স্কুলের মিড ডে মিলের বাজার করার হাত থেকে নিষ্কৃতি পেতে চলেছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কাছ থেকে এই অভিযোগ যখন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের কাছে যায়, তখন বিষয়টি নিয়ে টনক নড়ে রাজ্য সরকারের। রাজ্য সরকারের মুখ্য সচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী শিক্ষা দপ্তরের অধিকারীদের সঙ্গে এই সমস্যা সমাধান করার জন্য একটি বৈঠকে বসেন।
নতুন এই দায়িত্ব পেতে চলেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠী পরিচালিত কো-অপারেটিভ গ্রুপের উপরে। ঠিকমতো বাজার হচ্ছে কিনা বা বাজার করার জন্য কত টাকা খরচ হচ্ছে, ইত্যাদি বিষয়ের উপর নজরদারি চালাবে স্কুলের পরিচালন সমিতি।
সরকারের এই সিদ্ধান্তে খুশি শিক্ষক শিক্ষিকারা। তারা জানিয়েছেন যে, এবারে তারা মন দিয়ে ছাত্রছাত্রীদেরকে পড়াতে পারবেন এবং বাজার করার ঝামেলার জন্য পড়াশোনার কাজে কোন রকম ব্যাঘাত ঘটবে না।
তবে এখনই রাজ্যের সমস্ত স্কুলে এই পদ্ধতি চালু হবে না। রাজ্যের কয়েকটি জেলায় আপাতত পাইলট প্রজেক্ট হিসেবে এই কাজটি শুরু করা হবে বিভিন্ন কো-অপারেটিভ গ্রুপগুলির মাধ্যমে এবং সাফল্য দেখা দিলে তারপর রাজ্যের প্রতিটি স্কুলেই এই নিয়ম লাগু হবে। এরপর রাজ্যের প্রত্যেকটি স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা বাজার করা ঝামেলার হাত থেকে মুক্তি পাবেন।