বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে চলছে মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Exam 2023)। কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী এই বছর পরীক্ষা দিচ্ছেন। আর কিছুদিন পরই রাজ্যে শুরু হতে চলেছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা (High Secondary Exam 2023)।এ মাসের ১৪ তারিখ থেকেই শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। আর পরীক্ষা প্রক্রিয়া যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, সেই উদ্দেশ্যে ২০ দফা নির্দেশিকা প্রকাশ করা হলো উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে। (WBCHSE Published 20 Guidelines for HS Exam)
ছাত্রছাত্রীরা বা অভিভাবকেরা যাতে এই সমস্ত ভুলগুলি না করেন, তাই জন্য আগে থেকেই জেনে নেওয়া ভালো এই নির্দেশিকাগুলি। পরবর্তীকালে ছাত্রছাত্রীদের যাতে কোন রকম অবসর অসুবিধার মধ্যে না পড়তে হয়, সেই বিষয়ে সতর্ক থাকার জন্য জেনে নিন এই বছরের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা সংক্রান্ত কয়েকটি গুরত্বপূর্ণ বিধি নিষেধ এবং নিয়ম।
শিক্ষা পর্ষদের পক্ষ থেকে এই বছর প্রথমবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহারের। কোন ছাত্রছাত্রীরা যাতে কোনরকম ইলেকট্রনিক গ্যাজেট নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য এই বছর থেকে মেটাল ডিটেক্টর নিয়ে ছাত্রছাত্রীদের তল্লাশি চালানো হবে।
প্রতিটি পরীক্ষার মেইন ভেনু তে দুজন কাউন্সিল নমিনি থাকবেন এবং সাব ভ্যালুতে একজন কাউন্সিল নমিনি থাকবেন প্রশ্নপত্রের সুরক্ষার জন্য।
ছাত্রছাত্রীরা যাদের মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ না করেন, সেই বিষয়টি অ্যাডমিট কার্ড দেওয়ার সময়ই ছাত্র-ছাত্রীদের সতর্ক করে দেওয়া হবে স্কুলের পক্ষ থেকে।
পরীক্ষা শুরু হবার পর থেকে শেষ হওয়া পর্যন্ত কোনো শিক্ষক-শিক্ষিকার হল থেকে বাইরে বেরোনোর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
মোবাইল ফোন নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ।
পরীক্ষা কেন্দ্রের মেন গেটে পুলিশের নজরদারি থাকবে শুধুমাত্র ভেনু সুপারভাইজার, সেন্টার ইনচার্জ ছাড়া কেউ মোবাইল নিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন না পরীক্ষা কেন্দ্রে।
রাজ্যের ২৩৫টি পরীক্ষাকেন্দ্র কে স্পর্শকাতর পরীক্ষা কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে শিক্ষা সংসদ। এই পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিতে ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র নিয়ে কেউ প্রবেশ করছে কিনা, সেই বিষয়ে কড়া চেকিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কোনদিন যে বিষয়ের পরীক্ষা হবে সেই বিষয়ের কোন শিক্ষক পরীক্ষা কেন্দ্রে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে ডিউটি করতে পারবেন না।
ভেনু সুপারভাইজারদের আইডি কার্ড দেওয়া হবে, পরীক্ষা কেন্দ্রে নিরাপত্তা সুরক্ষিত করতে এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।।
প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রে দুজন ইনভিজিলেটর থাকবেন। পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন মোবাইল নেই, এই বিষয়টি নিশ্চিত হবার পরেই প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে।
কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে যদি ভাঙচুর, বিশৃঙ্খলা বা টোকাটুকির অভিযোগ ওঠে তবে সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের রেজাল্ট আটকে দেওয়া হবে এবং স্কুলের স্বীকৃতি ও বাতিল হতে পারে।
পরীক্ষার দিনগুলোতে প্রত্যেকদিন সকাল আটটা থেকে সমস্ত ভেনুতে কাউন্সিল নমিনি উপস্থিত থাকবেন। যাতে পরীক্ষা প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা হয়, সেই কাজ তিনি নজরদারি করবেন।
ভ্যেনু সুপারভাইজারা নিজের দায়িত্বের প্রশ্নপত্র সুরক্ষিত রাখবেন। প্রশ্নপত্র খোলার সময় সামনে একজন পুলিশ এবং কাউন্সিল নমিনি থাকা বাধ্যতামূলক।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার এক ঘন্টা পর পর্যন্ত কাউকে টয়লেটে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না এবং পরীক্ষা শেষ হওয়ার আগে ১২:৪৫ পর্যন্ত কোন পরীক্ষার্থী হল ছেড়ে বেরোতে পারবেন না।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কারো কাছে মোবাইল পাওয়া গেলে সেই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা বাতিল করা হবে ।
প্রতিটি ভেনু সুপারভাইজারকে RA Format সহ RA করার নির্দেশ হয়েছে নিচের পাঁচটি কারণ ঘটার জন্য।
মোবাইল নিয়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে প্রবেশ।
পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন অসৎ উপায় অবলম্বন করলে।
উত্তরপত্র ছিড়ে ফেলা ,উত্তরপত্র বাড়ি নিয়ে যাওয়া, উত্তর পত্রে কোনো অশালীন শব্দ ব্যবহার করা ইত্যাদি।
বিদ্যালয়ের সম্পত্তি নষ্ট করা।
শিক্ষক-শিক্ষিকাদের নিগ্রহ করা।
কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে যদি কোন বড় ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে ,তবে সেই পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেনু সুপারভাইজার দায়ী থাকবেন।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে এবার কোনরকম বিতর্কে যেতে চায় না উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ। সেই জন্য একগুচ্ছ নির্দেশিকা এবং নিয়ম এর বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া স্কুল ভাঙচুর এবং অন্যান্য ঘটনার জন্য সমগ্র স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল করা হতে পারে বলে জানিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ