বাচ্চাদের ছোট থেকেই বা স্কুলে ভর্তি হবার পর থেকেই হাত খরচার টাকা দরকার হয়। ছোট ছেলেমেয়েরা তাদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে হাত খরচার টাকা যোগাড় করে। মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই ছাত্রদের নিজের থেকে হাত খরচার টাকা জোগাড় করার একটি তাগিদ দেখা যায়। অনেক ছেলেমেয়েরা স্কুল বা কলেজে পড়তে পড়তেই টিউশনি শুরু করেন। এতে করে তাদের হাত খরচের টাকা উঠে আসে এবং সময়টাও কেটে যায়।
মাধ্যমিক বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়ার পর হাতে বেশ কিছুটা ফাঁকা সময় থাকে। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন রকম বিষয়ে বিজনেসের মাধ্যমে হাত খরচের টাকা জোগাড় করতে পারে ছাত্র-ছাত্রী বা কিশোর কিশোরীরা। আজকের প্রতিবেদন থেকে এমন কয়েকটি বিজনেস আইডিয়া সম্পর্কে জানাবো যেগুলি কিশোর কিশোরীররা স্কুল বা কলেজে পড়ার সময়ই করতে পারবেন (Business Idea For Teenagers) এবং হাত খরচের টাকা অন্য কারোর কাছে চাইতে হবে না। নিজের উপরেই নির্ভরশীল হতে পারবেন। কলেজে পড়ার বেতন জোগাড় হয়ে যেতে পারে এই বিজনেস গুলির মাধ্যমে। এছাড়া শুরুতেই যদি বিজনেস ভালোভাবে শুরু করা যায় তবে ভবিষ্যতে এর ভিত আরো মজবুত করে বড় ব্যবসার দিকে মন দেওয়া যাবে।
১. হাতের তৈরি জিনিস এর ব্যবসা:
অনেক ছাত্র-ছাত্রীরা ছোট থেকেই শৈল্পিক মননের হয়ে থাকে। গয়নাগাটি,সাবান ,কাগজের ব্যাগ, জুয়েলারি, খাবার ইত্যাদি অনেক কিছু সুন্দরভাবে বানাতে পারেন অনেক ছেলে মেয়েরা। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার পর হাতে অঢেল সময় থাকে। সেই সময়ের মধ্যে যদি এমন কোন জিনিসপত্র ছেলে মেয়েরা তৈরি করে বিক্রি করতে পারেন,সেখান থেকে অনেক টাকা উপার্জন করা যায় ।যারা ভাল রান্না করতে পারেন, তারা খাবার ডেলিভারির মাধ্যমেও মোটা অংকের টাকা উপার্জন করতে পারবেন। হাতের তৈরি জিনিসগুলি online বা অফলাইন উভয়ের মাধ্যমে বিক্রি করা যায়। ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য এই ব্যবসাটি (Business Idea For Students) খুবই আকর্ষণীয় মনে হতে পারে।
২. টিউশন:
স্কুলে পড়তে পড়তে বহু ছেলে মেয়েরা টিউশন করেন। প্রথম দিকে অফলাইনের মাধ্যমেই পড়ানো শুরু করতে হবে, কারণ অনলাইনের মাধ্যমে পড়ালে ছাত্রছাত্রী পাওয়া যাবে না প্রথমদিকে। মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীরা স্টাডি নোট বানিয়ে সেগুলি বিক্রি করে উপার্জন করতে পারেন। স্টাডি নোট বিক্রি করার বিভিন্ন ওয়েবসাইট গুগলে উপলব্ধ রয়েছে। সেগুলি সার্চ করে বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট গুলোতে স্টাডি নোটগুলি বিক্রি করে অনেক টাকা উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের। Youtube চ্যানেল থাকলে বা কোন ভালো প্ল্যাটফর্ম থাকলে সেখানে অনলাইনে পড়িয়ে অনেক টাকা উপার্জন করা যায়।
৩. ব্লগ লিখে উপার্জন:
বর্তমানে বহু ছেলেমেয়েরা ছাত্র জীবন থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে ব্লগ বানিয়ে ওয়েবসাইট এবং অন্যান্য প্লাটফর্মে আপলোড করে থাকেন। কনটেন্ট ভালো থাকলে এবং দর্শক সংখ্যা বাড়তে থাকলে ব্লগ থেকেই প্রচুর টাকা উপার্জন করা যায়(Earning From Blogging)। Blogging থেকে প্রত্যেক মাসের ইনকাম কোন সরকারি চাকরিরত কর্মীদের মাইনের থেকেও বেশি হয়ে যেতে পারে। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ব্লগ লেখা যেতে পরে শিক্ষাগত বিষয়, কোন বই রিভিউ, রান্নার রেসিপি, রাজনৈতিক ঘটনা একাধিক বিষয়ে ব্লগ বানাতে পারেন আপনি। ব্লগ এর বিষয়বস্তু ভিডিও হিসেবে আপলোড করেও উপার্জন করতে পারেন আপনি। সেখানেও রয়েছে বিভিন্ন রকম সুযোগ।
ব্লগিং করতে আপনার দরকার একটি ডোমেন এবং Hosting। আমারা এই Hostinger ব্যবহার করে থাকি। এই Hosting কেনার লিঙ্ক থেকে আপনি Hosting কিনলে প্রচুর ডিসকাউন্ট পেয়ে যাবেন এবং দাম আরও কমানোর জন্য কুপন কোডঃ “exam365” ব্যবহার করুন। (আগের লিঙ্ক থেকে হোস্টিং কিনলে ১ বছরের যেকোনো ডোমেন বিনামূল্যে পেয়ে যাবেন।)
৪. সোশ্যল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার:
Social Media যেমন Youtube, Facebook, Instagram ইত্যাদি জায়গায় ছবি এবং ভিডিও আপলোড করে যদি পপুলার হতে পারেন, সেখান থেকে উপার্জন করার সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে বহু ছাত্র-ছাত্রীরা Youtube, Instagram সহ একাধিক প্লাটফর্মে নিজেদের ছবি এবং ভিডিও আপলোড করে অনেক টাকা উপার্জন করেন। মূলত এই কাজটিকে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সার হিসেবে দেখা হয়। বহু ব্র্যান্ডের প্রোমোশন করতে এবং অন্যান্য পণ্যের প্রচার করতে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জাদের সাহায্য নেওয়া হয় এবং তাদেরকে মোটা টাকা বেতন দেওয়া হয়।