HomeBusiness ideasEarning Ideas: বাড়ি বসে ইনকাম করতে পারবেন এমন ৬টি কাজ। জানুন বিশদে।

Earning Ideas: বাড়ি বসে ইনকাম করতে পারবেন এমন ৬টি কাজ। জানুন বিশদে।

আজকালকার দিনে পড়াশোনা, চাকরি, শপিং থেকে শুরু করে বহু কাজ অনেক কিছুই অনলাইন হয়ে গেছে। প্রায় সবকিছুই এখন ইন্টারনেটকে কেন্দ্র করেই চলছে। চাকরির বাজারেও এসেছে আমূল পরিবর্তন। করোনা ভাইরাস(Covid 19) আসার সময় থেকেই ওয়ার্ক ফ্রম(Work From Home) হোম কথাটির সাথে আমরা প্রায় সকলেই পরিচিত। বহু কাজে এখন বাড়িতে বসেই করা যায়, তাও আবার অনলাইনের মাধ্যমেই। সেখান থেকে বেশ মোটা টাকা উপার্জন করা যায় প্রতিমাসে। (Earning Ideas)

মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলেমেয়েরা বর্তমানে অনেকেই আছেন, যারা সরকারি চাকরির প্রস্তুতি (Government Job Preparation) নিচ্ছেন। তবে চাকরির বাজার ক্রমশ সংকুচিত হয়ে আসার জন্য অনেকেই ব্যবসার পথ বেছে নিচ্ছেন। অনেক ছেলে মেয়েরাই আছে যারা চিরাচরিত চাকরির রাস্তা ছেড়ে নিজেদের মতো করে ব্যবসা বা অন্য কোন ভাবে টাকা উপার্জন করতে চায়। তবে উপযুক্ত আইডিয়া এবং ব্যবসা করার মূলধনের অভাবে অনেকেই ব্যবসার পথে এগোতে চান না। অনেকেই আছেন, যাদের দূরে কাজ করার সুযোগ থাকলেও বাড়িতে থেকেই কাজকর্ম করতে চান এবং পরিবারের পাশে থাকতে চান।

আজকের এই প্রতিবেদনে এমন পাঁচটি কাজ(Earning From Home) সম্পর্কে আপনাদের জানাবো যেগুলি আপনারা বাড়িতে বসে করতে পারবেন এবং দূরে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন হবে না আপনাদের। এখানে অনলাইন কাজ এবং বাড়িতে করার মতো ব্যবসা(Home Business Ideas) দুই ধরনের কাজ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

1) ইউটিউব:

বাড়িতে বসে উপার্জন করার মত বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় উপায় হল ইউটিউব করা। ইউটিউবে ভিডিও(YouTube Video) পোস্ট করার মাধ্যমে বর্তমানে বহু কনটেন্ট ক্রিয়েটররা(YouTube Content Creator) প্রতিমাসে লক্ষাধিক টাকা উপার্জন করছেন। ইউটিউবের পলিসি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সংখ্যক সাবস্ক্রাইবার(Subscribers) সংখ্যা এবং ভিডিওতে ভিউজ সংখ্যা থাকলে ইউটিউব এর পক্ষ থেকে আপনাকে প্রতিমাসে টাকা পেমেন্ট করা হয়।

বর্তমানে ইউটিউব তাদের পুরনো পলিসি(YouTube Policy) চেঞ্জ করে আরও সুবিধাজনক করেছে গ্রাহকদের জন্য। এবার থেকে খুব সহজেই মনিটাইজেশনের জন্য এপ্লাই করতে পারবেন ইউটিউবের কনটেন্ট ক্রিয়েটররা।

আপনাকে একটি নির্দিষ্ট বিষয় সম্পর্কে ভিডিও বানাতে হবে। পাশাপাশি ভিডিওর স্ক্রিপটিং, ব্যাকগ্রাউন্ড, মিউজিক ইত্যাদির দিকে নজর রাখতে হবে। আপনার ভিডিও যদি সকলের ভাল লাগতে থাকে, তাহলে খুব তাড়াতাড়ি আপনি প্রচুর ভিউয়ার এবং সাবস্ক্রাইবার অর্জন করে ফেলতে পারবেন। একবার যখন ইউটিউব আপনাকে প্রতি মাসে মোটা অংকের টাকা দেওয়া শুরু করবে, তখন আপনার আর অন্য পেশায় যাওয়ার কোন প্রয়োজন হবে না।

2) অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়:

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং(Affiliate Marketing) হচ্ছে এমন একটি ব্যবসা যেখানে অন্যের কোন একটি প্রোডাক্ট আপনি প্রচারের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন। এখানে অন্য কোন কোম্পানির ব্র্যান্ড বা অন্য কোন ব্যক্তির প্রোডাক্ট এর প্রমোশন আপনি করতে পারবেন। যদি কোন ব্যক্তি আপনার প্রমোশন করা লিংকের মাধ্যমে কোন জিনিস কেনাকাটি করে থাকেন, তাহলে আপনি সেই জিনিসটির নির্ধারিত দামের ওপর একটি নির্দিষ্ট শতাংশ হারে কমিশন পাবেন।

এই কাজটি আপনি সম্পূর্ণ বাড়িতে বসেই করতে পারবেন এবং যার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে ইন্টারনেটের(Internet)। পাশাপাশি আপনি যদি এই কাজটির জন্য আরো কয়েকজনকে হায়ার করতে পারেন, তাহলে আপনার উপার্জন এর পরিমাণ আরো কয়েকগুণ পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য আপনার প্রয়োজনে একটি বড় টেলিগ্রাম গ্রুপ(Telegram Group) বা ফেসবুক গ্রুপ, যেখানে আপনি খুব সহজেই বিভিন্ন লিংকের প্রমোশন করতে পারবেন এবং বহু মানুষের কাছে আপনার লিঙ্ক পৌঁছাবে।

যে সমস্ত টেলিগ্রাম গ্রুপে প্রায় ১০ লক্ষেরও বেশি মেম্বার আছে, সেখানে যদি আপনার একটি মাত্র লিংক থেকে মাত্র ১০০০ জনও কেনাকাটি করে থাকে, আর জিনিসটির নূন্যতম দাম যদি 500 টাকা ধরা হয়, তাহলে আপনি প্রফিট করতে পারবেন প্রায় ২৫০০০ টাকা বা তারও বেশি।

3) নাচ, গান ও আঁকার স্কুল:

বর্তমানে বেশিরভাগ অভিভাবকের চান তাদের সন্তানেরা পড়াশোনার পাশাপাশি অন্য কোন একটি বিষয় দক্ষ হোক। এইজন্য বেশিরভাগ অভিভাবকেরা তাদের সন্তানকে নাচ, আঁকা বা অঙ্কনের ক্লাসে ভর্তি করিয়ে দেন। আপনার যদি পড়াশোনার পাশাপাশি অতিরিক্ত কোন স্কিল জানা থাকে, তাহলে সেই স্কিল(Skill) কাজে লাগিয়ে এবং অন্যদেরকে সেই স্কিলটি সম্পর্কে শিখিয়ে প্রত্যেক মাসে কয়েক হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

আপনার বাড়িতে যদি ফাঁকা জায়গা থাকে, সেটা কোন ফাঁকা ঘর বা ফাঁকা ছাদ – সেই জায়গাটিতেই আপনি ছোট করে কোন নাচ, গান বা অংকনের স্কুল খুলতে পারবেন। পাশাপাশি আপনার স্কুল সম্পর্কে প্রচার করতে হবে, যাতে করে আরো বেশি সংখ্যক মানুষ আপনার স্কুলের সম্পর্কে জানতে পারে এবং বেশি সংখ্যক ছাত্রছাত্রী আপনার কাছে আসে।

এই ক্লাসটি আপনি দিনের যেকোন অবসর সময়ে বা ছুটির দিনে করতে পারবেন। যাতে করে আপনি এর পাশাপাশি অন্য কোন কাজ করতে পারেন। পাশাপাশি এমন সময় ছাত্রছাত্রীদের ক্লাস করান, যেটি তাদের জন্য উপযুক্ত সময়।

আপনার ছাত্রছাত্রীরা যখন আপনার থেকে কোন কিছু শিখে ভালোভাবে রপ্ত করবে, তখন তাদের দেখাদেখি আরো বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী আপনার ক্লাসে যোগ দিতে চাইবে। তখন প্রত্যেক মাসে আপনারা আরও অনেক বেশি টাকা উপার্জন করতে পারবেন সম্পূর্ণ ঘরে বসেই।

4) বাড়ি ভাড়ার ব্যবসা:

আপনার বাড়িতে যদি অতিরিক্ত ঘর থেকে থাকে, তাহলে আপনারা সেই ঘর ভাড়া দেবার(Room Renting Business) মাধ্যমে প্রত্যেক মাসে কয়েক হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন। অনেকের বাড়ির সামনে ফাঁকা জায়গা পড়ে থাকে। এই ফাঁকা জায়গাটিতে যদি আপনারা কয়েকটি ছোট ছোট ঘর তৈরি করতে পারেন, তাহলে সেই ঘরগুলি ভাড়া দেওয়ার মাধ্যমে আপনারা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

5) বাতাসা বা মোমবাতি তৈরির ব্যবসা:

খুব অল্প জায়গার মধ্যে করার মত ব্যবসা গুলির মধ্যে অন্যতম ব্যবসা হল বাতাসা তৈরি করা বা মোমবাতি তৈরি করা। দুটি জিনিসই পুজোর জন্য কাজে লাগে। আপনাদের এলাকায় বা আশেপাশে যদি কোন বড়ো মন্দির থেকে থাকে, তাহলে এই জিনিসগুলি তৈরি করার পর আপনার বিক্রি করা নিয়ে কোনরকম সমস্যার মধ্যে পড়তে হবে না।

বাতাসা বা মোমবাতি তৈরি করা খুবই সহজ। এর জন্য আপনাদের হাতের পরিশ্রমও বিশেষ দরকার হয় না, কারণ বাতাসা এবং মোমবাতি তৈরি করার অটোমেটিক মেশিন কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। এই মেশিনগুলি থেকে প্রতি মিনিটে বা প্রতি ঘন্টায় কয়েকশো মোমবাতি বা কয়েকশো বাতাসা তৈরি করা যায়।

আপনার পণ্যের প্রচার করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া, লিফলেট বা অন্যান্য পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতাদের সাহায্য নিতে পারেন। বাড়িতে অল্প জায়গার মধ্যেই আপনারা এই ব্যবসাটি করতে পারবেন এবং এই জিনিসগুলি তৈরির জন্য যে কাঁচামাল দরকার, তার জন্য আপনাদেরকে বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই।

6) সাইবার ক্যাফে থেকে ইনকাম:

আপনার বাড়িতে যদি অতিরিক্ত জায়গা থেকে থাকে, তাহলে আপনারা সেই জায়গাটি খালি খালি ফেলে না রেখে একটি ছোট সাইবার ক্যাফ(Cyber Cafe) হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

বর্তমানে বহু ছেলে মেয়েরা চাকরি ফর্ম ফিলাপ করার জন্য সাইবার ক্যাফের উপর নির্ভর করে থাকে। পাশাপাশি ইলেকট্রিক বিল দেওয়া, ক্রেডিট কার্ড বিল দেওয়া, ট্রেন ও প্লেনের টিকিট কাটা ইত্যাদি কাজের জন্য দরকার হয় সাইবার ক্যাফের।

তাছাড়া বর্তমানে প্রিন্ট করা, ছবি তোলা, ছবির প্রিন্ট বের করা, লেমিনেশন(Lamination) করা ইত্যাদি কাজ ও সাইবার ক্যাফের মাধ্যমে করা হয়। আপনারা যদি এই কাজগুলি সাইবার ক্যাফের মাধ্যমে করতে পারেন, তাহলে প্রতিটি কাজ পিছু আপনারা বেশ মোটা পার্সেন্ট এর উপার্জন করতে পারবেন ব্যয়ের তুলনায়।

বর্তমানে চাকরির প্রতিটি ফর্ম ফিলাপ(Govt Job Form Fillup) পিছু সাইবার ক্যাফেতে ৩০ টাকা থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত নেওয়া হয়। যে কোন রকম বিল পরিশোধের(Bill Payment) ক্ষেত্রেও নেওয়া হয় অতিরিক্ত ১০ থেকে ২০ টাকা। প্রতিদিন আপনি যদি আপনার দোকানে ১০০ জন গ্রাহকও পেয়ে থাকেন, তাহলে মাথাপিছু নুন্যতম ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা ইনকাম হলে, দিনের শেষে আপনি উপার্জন করতে পারবেন ২০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। যা মাসের শেষে মোটা অংকের টাকায় পরিণত হবে।

এই রইল বাড়িতে বসে কাজ করার মত ছয়টি ব্যবসার আইডিয়া। আপনারা চাইলে এই আইডিয়াগুলি নিজেদের জীবনে প্রয়োগ করতে পারেন এবং নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে স্বাবলম্বী হতে পারেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

RELATED ARTICLES

Most Popular